ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রীদের যেখানে মারা নিষেধ
ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রীদের যেখানে মারা নিষেধ
ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রীদের যেখানে মারা নিষেধ: স্ত্রীদের পেটানোর প্রচলনটা আমাদের সমাজে এখনো বিদ্যমান অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রী বা বউ এর সাথে একটু আধটু কথা কাটাকাটি হলেই স্বামী-স্ত্রীকে গরু পেটানোর মতো করে পেটায় এখন প্রশ্ন হলো ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রীর ভুলের কারনে তাদের শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য মারা কি জায়েজ বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং আলোচনা করার জন্য অনেক সময়ের দরকার।
তাই আজকে আমরা এই সংক্ষিপ্ত এই আলোচনা মাধ্যমে জেনে নিব যে, ইসলাম তথা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের যে, স্থানে/জায়গাতে মারতে নিষেধ করেছে। তাই এটি পর্যন্ত পড়ুন আর আপনার সমাজে কোন বউ পেটানো ব্যক্তি থাকলে তাকে অবশ্যই শেয়ার করুন যাতে করে সেও এটি পরে উপকৃত হতে পারে ।
হযরত হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া কোরাইশী তার পিতা হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম আমাদের স্ত্রী গনের আমাদের উপর অধিকার কি রয়েছে ? উত্তরে তিনি বললেন যখন তুমি খাও তখন তাকেও খাওয়াও, তুমি পড়লে তাকে উপরে পরিধি দাও। আর প্রয়োজনে তাকে মারতে হলে মুখে মেরো না তাকে গালি দিও না। প্রয়োজনে বিছানা ভিন্ন করা ছাড়া তাকে একাকিনী ফেলে রেখোনা। এই হাদিসে স্ত্রীদের মুখে মারতে ও তাদের গালি দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
অপর দিকে:
অন্য একটি হাদীসে রয়েছে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জানা হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমাদের মধ্যে কেউ যেন গোলামের নেয় স্ত্রীকে না মারে। অথচ দিন শেষে তার সাথে সহবাস করবে। অপর একটি হাদিসে আছে যে, কেউ যেন গোলামের ন্যায় স্ত্রি কে মারতে উদ্ধত না হয় হয়তো দিন শেষে তার সাথে কৈতুক করতে চাইবে আর সে এগিয়ে আসবে না। এই হাদিসে গোলামের ন্যায় পেটানোর কথা বলা হয়েছে। যেটাকে আমরা গরুর পেটানো মতো বুঝি।
ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রীদের শিষ্টাচার ও ভদ্রতা শেখানোর জন্য শরীয়তের নির্ধারিত গন্ডির মধ্য থেকে প্রহার করা যেতে পারে যেমন:হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন শরীয়ত সম্মত কারণে স্বামী স্ত্রি কে প্রহার করলে এই সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। তবে কেউ যদি শরীয়ত সম্মত কারণ ছাড়া প্রহার করে অথবা গালে মারে, অথবা গরু পেটানোর মতো করে পেটায়, অথবা গালি দেয়। তবে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তাকে এ ব্যপারে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন এবং এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করলে তাকে শাস্তি দিবেন।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পদ্ধতি অনুসরণ করার মধ্যেই রয়েছে মানুষের ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ তা-আলা আমাদের সৎ আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।