জঙ্গি ব্রেন্টন এর হামলার কারণ, অনলাইনে এই জঙ্গির স্টাটাস

জঙ্গি ব্রেন্টন হামলাকারী তার হামলার আগে অনলাইনে পোস্ট করা ইশতেহার।

জঙ্গি ব্রেন্টন
জঙ্গি ব্রেন্টন

জঙ্গি ব্রেন্টন হামলাকারী ইশতেহারঃ
ব্রেন্টন জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। সে দেশটির উত্তরাঞ্চলের গ্রাফটন শহরের বাসিন্দা। মূলত শ্বেতাঙ্গদের ভূ-খণ্ড কখনোই অনুপ্রবেশকারীদের হবে না এটা বুঝিয়ে দিতেই ওই হামলা চালানো হয় বলে ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘আমাদের ভূখণ্ড আমাদের, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শ্বেতাঙ্গও বেঁচে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা আমাদের ভূমি জয় করতে পারবে না, এবং আমাদের হটাতে পারবে না, লিখেন ব্রেন্টন।

এরপরেই পয়েন্ট আকারে হামলার বেশ কতগুলো কারণ উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো-
১। ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডে সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।
২। অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ফলে লক্ষ লক্ষ ইউরোপবাসীর কাজ হারানোর প্রতিশোধ নিতে।
৩। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের ফলে হাজার হাজার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।
৪। শত্রুপক্ষকে উত্তেজিত করে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে নামানো, যাতে করে তারা অনিবার্য নেতিবাচক পরিণতির মুখোমুখি হয়।
৫। এবা আকেরলান্ডের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।

(২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল উজবেক এক জঙ্গির হামলায় সুইডেনের স্টকহোম শহরে লড়ি চাপায় পাঁচজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিল এবা আকেরলান্ড নামে এক শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়ে। স্কুল থেকে ফেরার পথে মায়ের সঙ্গেই লড়ির নিচে চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়)

৬। ভয় দেখিয়ে ও সশরীরে হটিয়ে দিয়ে ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের অভিবাসন হার কমাতে
৭। আতঙ্ক আর পরিবর্তনের একটা পরিবেশ তৈরি করতে, যাতে বিধংসী, বিপ্লবী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়।
৮। ভূমি দখলকারী অনুপ্রবেশকারী আর ইউরোপবাসীর মধ্যে সহিংসতা, প্রতিশোধস্পৃহা আর বিভাজনকে জাগিয়ে তুলতে।
৯। আমার মানুষকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে। যারা এ কাজ করতে চায় তাদের চলার পথ আলোকিত করতে। তাদের জন্য যারা পূর্ব-পুরুষের ভূখণ্ডকে অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। আর তাদের জন্য বাতিঘর হতে যারা একটা স্থিতিশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে চায়, তাদের জানাতে যে, তারা একা নয়।
১০। তুরস্ক বাদে ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর মাধ্যমে সম্মিলিত ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠন করে তুরস্ককে আরো একবার বিদেশি শত্রুপক্ষ হিসেবে তার সত্যিকারের অবস্থান ফিরিয়ে দেওয়া।
১১। ইতিহাসের গতিতে বিশেষ আন্দোলন তৈরির মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে; নাস্তিবাদী, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী, ভোগবাদী, উন্মাদ চিন্তা যার দখল নিয়েছে।

এ ছাড়া ৭৩ পৃষ্ঠার ওই ইশতেহারে আরো নানামুখী আদর্শ ও কারণের কথা উল্লেখ করা হয়।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *